সারাদেশে করোনা আতঙ্কের মধ্যেও বেপরোয়া এনজিও দাদন ব্যাবসায়ীরা
শাহ মোহাম্মদ রায়হান বারী
সারাদেশ-সারা বিশ্ব যখন করোনা ভাইরাসে আতঙ্কিত,মানুষ গৃহবন্দী এবং সব কিছুরই যখন অচলাবস্থা তখনও থেমে নাই এনজিও গুলোর কিস্তি কালেকশন এবং দাদন ব্যবসায়ীদের দাদনের চাপ। সাধারণ মানুষ তাদের কারণে আরও মানসিক চাপে আছে।
সারাদেশের ব্র্যাক, আশা, গ্রামীণ ব্যাংকসহ ছোট বড় প্রায় -পচিশ-পঞ্চাশটা এনজিও রয়েছে, যাদের মূল কার্যক্রম ঋণদান কর্মসূচি। হাজার হাজার মানুষ তাদের ঋণ গ্রহীতা। নিয়মিত তারা এনজিও এর কিস্তি প্রদান করলে বর্তমান নাজুক পরিস্থিতিতে কিস্তি দিতে অপারগ। কিন্তু এনজিও গুলো তাদের কিস্তি কালেকশন অব্যাহত রেখেছে। অনেকেই কিস্তি দিতে না পারায় তাদের উপর চাপ প্রয়োগ করা হয় মর্মে ভুক্তভোগিরা জানান। অন্যদিকে ব্যক্তিগত ভাবে বিশাল অংকে মানুষ দাদন ব্যবসার সাথে জড়িত। সেই সাথে ছোট বড় দেশের প্রতিটি হাট বাজারে রয়েছে কয়েকশ সংঘবদ্ধ দাদন ব্যবসায়ীদের চক্র। সমবায় অফিসের অনুমোদন সাপেক্ষে নানা সংস্থাও জড়িত দাদন ব্যবসার সাথে। বিপদে পড়ে বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ তাদের কাছ থেকে চড়া সুদে টাকা নিয়েছে। তাদের কার্যক্রমও অব্যাহত। করোনা আতঙ্কে মানুষ যখন দিশেহারা তখনও ওইসব এনজিও দাদন ব্যবসায়ীদের চাপ যেন গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। এদিকে গত ১৯মার্চ বাংলাদেশ ব্যাংক এই নাজুক পরিস্থিতে ব্যাংক ঋণের ব্যাপারে বিশেষ নির্দেশনা জারি করলেও এনজিওদের তথা অর্থলগ্নির সাথে জড়িত অন্যদের ব্যাপারে কোন নির্দেশনা না থাকায় তারা তাদের কার্যক্রম চালিয়েই যাচ্ছে। এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী সদয় দৃষ্টি কামনা করছে অসহায় মানুষেরা।